রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘বাংলাদেশে ইসকনের সবাই ভালো আছে, পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে’

ইসকনের কেন্দ্রীয় আধ্যাত্মিক নেতা ও মুখপাত্র দেবশঙ্কর বিষ্ণু দাস। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার ইস্যুতে একাধিক বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরির পেছনে অন্যতম কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ভুল তথ্য দর্শকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। যার ফলে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পাশাপাশি একটি সংগঠনের নামেও। আর এতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে সবচেয়ে ভুল বোঝাবুঝির জায়গায় পতিত হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ইসকনও।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দ্য উইক ম্যাগাজিন ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইসকনের কেন্দ্রীয় আধ্যাত্মিক নেতা ও মুখপাত্র দেবশঙ্কর বিষ্ণু দাস।

চিন্ময়ের পরিচয় নিয়ে প্রচলিত একটি ধারণার সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন দেবশঙ্কর। তিনিও জানান, চিন্ময় প্রায় ৬ মাস আগে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হন। পরবর্তীতে নিজের সংগঠনের প্রতিই মনোযোগী ছিলেন। তাই যে ব্যক্তি একটি শান্তিপ্রিয় ধর্মীয় সংগঠন থেকে বিতাড়িত, তার সম্পর্কে তথ্য প্রচারে ‘ইসকন’ শব্দটা ব্যবহার না করার দিকেই দৃষ্টিপাত করেন দেবশঙ্কর। এতে ১১০টি দেশে শান্তির পক্ষে কাজ করা ইসকনের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।

চট্টগ্রামে চিন্ময়ের পক্ষে এক আইনজীবী লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলে, তিনি বাধার মুখে পড়েন- এমন কিছু তথ্য চাউর হয়েছে বলে জিজ্ঞাসা করা হলে দেবশঙ্কর জানান, এটি সঠিক নয়। যারা এ ধরণের তথ্য প্রচার করেছে তারা ভুল বার্তা দিয়েছে।

শুধু চিন্ময়ই না, যেকোনো মানুষ তা যে ধর্ম-বর্ণের হোক, তার আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাওয়ার পক্ষে কথা বলেন দেবশঙ্কর। তবে যেহেতু চিন্ময় দাস ইসকনের সদস্য নন, তাই ইসকনের কাছ থেকে তিনি সাহায্যপ্রার্থী হতে পারেন না বলেও মনে করেন ধর্মীয় সংগঠনের এ মুখপাত্র।

এসময় বাংলাদেশে ইসকনের যাত্রা ও কর্মকাণ্ডে জোরপূর্বক কোনো শিথিলতা আনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে দেবশঙ্কর জানান, এটা হাস্যকর। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে শুরু করে সেখানকার কেউ এক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়নি। ১৪০টি সেন্টারে তারা আগের মতোই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু নিয়ে বৈশ্বিক হিন্দু সম্প্রদায়ের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে এখন অপতথ্য খুব দ্রুত ছড়ায়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমকে খবর বা তথ্য প্রচারে আরও সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইসকনের এই কেন্দ্রীয় নেতা। এসময় কিছু মানুষও ইচ্ছে করে গুজব তৈরি করছে বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।

প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিজস্ব আইন আছে উল্লেখ করে দেবশঙ্কর জানান, আমরা নিয়মগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বৈশ্বিক হিন্দু সম্প্রদায়কে এ বিষয়কে মনে রাখতে অনুরোধ করেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু

মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবি। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “দুই উপদেষ্টার এপিএস ও পিও- যাদের বিষয়ে আপনারা জানতে চেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এর আগে সকালে ‘যুব অধিকার পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এই দুই কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল করে দুদক কার্যালয়ে যায়। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দেয়।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের নজরে এসেছে এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, “শিগগিরই তদন্তের অগ্রগতি জানতে পারবেন।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। যদিও উপদেষ্টা ৮ এপ্রিলই তাকে অব্যাহতির নির্দেশ দেন। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন উল্লেখ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে দলটি।

রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত টাইমলাইনের ওপরই জামায়াত আস্থা রাখবে।’ তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুরোধও করেছে জামায়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে প্রচুর গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি হয়। এ শিল্পের প্রসারের জন্য নির্দিষ্ট একটি এলাকা নির্ধারণ করে সেখানে আরও বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি।’

নারীদের অধিকার ও জঙ্গিবাদ দমনে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছি। নারীদের অংশগ্রহণের দিক থেকে জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছে, যা অন্য যেকোনো দলের তুলনায় বেশি।’

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের পতিতাদের শ্রমিক স্বীকৃতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘এটি নারীদের জন্য চরম অপমানজনক।’

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে ঠিক কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২