সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রতিবন্ধী শেখ ফয়সাল মানবতার আড়ালে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

পরনে দামি কাপড়, চলেন দামি গাড়ির বহর নিয়ে। হাতে পরেন আড়াই কোটি টাকা দামের ঘড়ি। মিটিং করেন পাঁচতারকা হোটেলে। শুধু তাই নয় সঙ্গে থাকে সশস্ত্র দেহরক্ষী। চলাফেরা দেখলে যে কারও মনে হবে সে কোনো ধনী ব্যবসায়ী। না কোনো ধনী ব্যবসায়ী না এ হচ্ছে শেখ ফয়সাল নামের প্রতিবন্ধী এক প্রতারকের জীবনযাপনের কিছু বর্ণনা।

স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা ব্যয় করেন নিজের ভোগ-বিলাসে। কথিত মানবতার ফেরিওয়ালা শেখ ফয়সাল গত কয়েক বছর ধরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন এমন প্রচারণা চালান নানাভাবে। স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের প্রচারণা চালান ফেসবুকে বাংলাদেশে প্রথম ৯৯৯ টাকায় হেলিকপ্টার সেবা দেয়ার কথা বলে দেশের মানুষের সামনে আলোচনায় আসেন তিনি।

আর এসব ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেন। দীর্ঘদিন এসব প্রচার চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার অবস্থা! এরই মধ্যে নামিয়ে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড।

রাজধানীর মিপুর-৬ নম্বরের বাজারের পাশে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের কার্যালয়। কিন্তু যে ফ্লোরে অফিস ছিল সেখানেই এখন ভাড়া হবে সাইনবোর্ড ঝুলছে। মিরপুর-১ নম্বর ঈদগাহ মাঠ এলাকায় ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর বিভিন্ন তারকাদের এনে বিশাল কনসার্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার প্রচারণার আয়োজন করেছিল ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস।

প্রতারক শেখ ফয়সাল। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় এক দোকানদার গণমাধ্যমকে বলেন, তার প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য একটি কার্ড করেছিলেন। কথা ছিল ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ সকল চিকিৎসা পাওয়া যাবে। তখন দেশসেরা তারকাদের দিয়ে কনসার্টের আয়োজন করে সেই সময় তাদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে একটি স্বাস্থ্যকার্ড বিক্রি করেন ফয়সাল। কিন্তু কখনোই এই কার্ডের সেবা পাননি এই ভুক্তভোগী নারী। শুধু এই নারীই নন, যারাই কার্ড নিয়েছেন এবং যোগাযোগ করেছেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে ফরিদপুরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ১৮৬ জনতা রোড গোপালগঞ্জের নিজ এলাকায় হাতেগোনা কিছুসংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে শেখ ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস। সেখানেও বহু মানুষ ৩০০ টাকা দিয়ে হেল্থ কার্ড নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে- মিরপুরে ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেসের অফিসে আরবি গান ছেড়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন তারই ব্যবসায়িক পার্টনার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী চাকরিজীবীদের। কিন্তু নিজে প্রতিবন্ধী হয়ে কীভাবে তিনি এ কাজ করেন? এ বিষয়ে জালাল হোসেন নামে পুরান ঢাকার একজন ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, অনলাইনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন নাফকো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সঙ্গে। ফয়সাল হেল্থ এক্সপ্রেস সার্ভিস লিমিটেডের অফিসের ৬ষ্ঠতলায় তারই বাবার প্রতিষ্ঠান নাফকো অবস্থিত। প্রতারক ফয়সাল এর হেল্থ এক্সপ্রেসে বিনিয়োগ করলে সেই লাভের টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব এমন আশ্বাসে জালাল ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। পাশাপাশি তার ফ্ল্যাট বাবদ ২৫ লাখ টাকা আগেই তুলে দিয়েছিলেন শেখ ফয়সালের হাতে। কিছুদিন পর ব্যবসার লভ্যাংশ তো দূরের কথা- ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিতে তালবাহানা শুরু করেন।

এর কিছুদিন পর জালাল ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ গেলে তাকে বিদেশ থেকে গোল্ড বার নিয়ে আসতে বলেন ফয়সাল। গোল্ড বারের টাকার সঙ্গে আগের সকল পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটে উল্টোটা। এ সময় ব্যবসায়ী জালালকে ফয়সালের অফিসে ডেকে রাতভর উচ্চ ভলিউমে আরবি গান ছেড়ে বন্দুক ও লাঠি-লোহার রড দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন শেষে জালালের সামনে ইয়াবা রেখে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় ফয়সালের কাছে তার কোনো টাকা পাওনা নেই। এরপর ফয়সালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসায়ী জালালকে তার বাসায় নামিয়ে দেন। এসব ঘটনার পর ফয়সালের বাবা নতুন করে দলিল করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার চুক্তি করেন। কিন্তু এটা ছিল তার নতুন ফাঁদ। গা শিউরে ওঠা ফয়সালের এই নির্যাতনের সাক্ষী বহু মানুষ।

মিরপুর-১০ নম্বরে এক ট্রাভেল এজেন্সির মালিকও তার নির্যাতনের শিকার। শেখ ফয়সাল বরাবরই আয়েশি জীবনে অভ্যস্ত। মাঝে-মধ্যে দলবল নিয়ে চলে যান দুবাই। সেখানে থাকেন তারকা হোটেলে। ফয়সালের ভিসাসহ এসব কাজ করে দিতেন মিরপুর-১০ নম্বরের ব্যবসায়ী ইমন। ফয়সালের বিমানের টিকিট, হোটেল ভাড়া সবকিছু তিনিই ঠিক করে দিতেন। সেই টিকিট কাটতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ৬ লাখ টাকার টিকিট করে দেয়ার পর সেই টাকা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন ফয়সাল।

পরে দুবাইয়ে থাকাকালীন ১ লাখ দিরহামের ব্যবস্থা করে দিতে ইমনকে অনুরোধ করেন। সেই দিরহামের ব্যবস্থা করে দিয়ে ফয়সালের মিরপুর অফিসে টাকা আনতে গেলে পাওনা ৪০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে সিনেমা স্টাইলে ফয়সালের লোকজন সেই টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাকেও আটকে নির্যাতন করা হয়। এরপর তার থেকে ভিডিও বক্তব্য নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দেশে ফিরে ফয়সাল উল্টো ৪৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ভুয়া মামলা দেয় ইমনের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গে মিরপুর-৬ নম্বরের এক স্থানীয় নেতা এবং তারই সহকারী রাসেলও আসামি হন এই মামলায়। তুরাগ থানায় করা ভুয়া মামলাটি পরে খারিজ হয় আদালতে। এ ঘটনায় জড়িত মশিউর ঢাকা ছেড়ে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে যান। মিরপুর থানায় ৬ লাখ টাকার জিডি করলেও বাকি ৩৪ লাখ টাকার কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি তারা।

ফয়সাল যে শুধুই এসব ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা বা নির্যাতন করেছেন তেমনটি নয়। তার প্রতিষ্ঠানে যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন। অলিফিন বিডি- রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। আব্দুল্লাহ আল সাব্বির প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তিনি ফয়সালের জিমে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ করতেন। কিন্তু কাজ শেষে সেই টাকা নিয়ে শুরু হয় তালবাহানা। দফায় দফায় যোগাযোগ করা হয় শেখ ফয়সালের সঙ্গে। পরে সেই টাকা আনতে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী ফয়সালের অফিসে গেলে তাকেও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয় ফয়সালের লোকজন।

শেখ ফয়সালের এমন প্রতারণা নতুন নয়। ২০২১ সালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে দুই যুবককে নির্যাতন করেন। পরে ভুয়া ডিবি সাজার অপরাধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা হয় শেখ ফয়সালের নামে। এ মামলায় আসামি ছিল আর দুইজন।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ ফয়সাল গণমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যারা অভিযোগ করেছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতারক বলেও দাবি করেন ফয়সাল। তিনি বলেন, আমার ফেসবুক পেজে প্রায় ১০ মিলিয়ন ফলোয়ার। এটা এমনি এমনি হয়নি। আমি কীভাবে মানুষকে নির্যাতন করবো। আমি নিজেই তো একজন পঙ্গু মানুষ।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিন সংগঠন সম্মিলিতভাবে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য হলো—তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং একটি আধুনিক, মানবিক বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের মতামত ও চিন্তা সংগ্রহ করা।

প্রথম দিন: "তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: "তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ"।

সেমিনারে তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ ও উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রাজনৈতিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এ কর্মসূচি বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শনের আলোকে পরিচালিত হবে।

চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ:
▪ ৯ মে — কর্মসংস্থান ও শিল্পায়ন নিয়ে সেমিনার
▪ ১০ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

খুলনা ও বরিশাল বিভাগ:
▪ ১৬ মে — শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার
▪ ১৭ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ:
▪ ২৩ মে — কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৪ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ:
▪ ২৭ মে — তরুণদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার
▪ ২৮ মে — তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ

মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের প্রত্যাশা, মতামত ও ভাবনাকে রাজনৈতিক নীতিতে যুক্ত করে একটি জনমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করবে বিএনপি।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার