সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অপরিকল্পিত নগরায়ণে ট্র্যাজেডি আসে, ট্র্যাজেডি যায় !

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড কিংবা ট্র্যাজেডি নতুন কিছু নয়। কিছুদিন পর পরেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। পুরান ঢাকার নিমতলী থেকে বেইলি রোড। এর মধ্যেই ঘুরে ফিরেই যত দূর্ঘটানা। একটি ট্র্যাজেডির রেশ কাটতে না কটেতেই নতুন করে হাজির হচ্ছে অন্য একটি। যেন ট্র্যাজেডি আসে, ট্র্যাজেডি যায়। এসব দূর্ঘটানায় মৃত্যু আর আহাজারিতে ভারী হয় ঢাকার বাতাস। 

আর এসবের পুনরাবৃত্তির মূলে রয়েছে নগরের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা। মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে শহরে গড়ে উঠছে বড় বড় অট্টালিকা। গ্রিন কোজি কটেজের মতো শহর জুড়েই ভবনে ভবনে গড়ে উঠেছে হোটেল-রেস্তরাঁ। এসব ভবনে চুলার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সিলিন্ডারের গ্যাস। ক্রেতাদের উঠানামার সিঁড়ি বা লিফট নেই পর্যাপ্ত। এ কারণে এসব ভবন হয়ে উঠেছে অনেকটা টাইম বোম।

বেইলি রোডেই রাস্তার দু’পাশেই অসংখ্য রেস্তরাঁ। এসব রেস্তরাঁর ভবনে আছে আবাসিক ফ্ল্যাটও।

কোনো কোনো ভবনের নিচে বা উপরে আছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। বৃহস্পতিবার গ্রিন কোজি কটেজ নামে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই ভবনটির আশপাশে একই ধরনের বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন রয়েছে। কিছু ভবনের প্রথম ৪ থেকে ৫ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। সেখানে ভাড়া দেয়া হয়েছে রেস্তরাঁ, কফিশপ কিংবা শপিংমল। রেস্তরাঁর কর্মীরা জানান, ওই এলাকায় অন্তত ৫০টি রেস্তরাঁ রয়েছে। একাধিক বহুতল ভবনে অন্তত ৮ থেকে ১০টি করে রেস্তরাঁ রয়েছে। রেস্তরাঁয় রান্নার কাজে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি রেস্তরাঁগুলোর মাঝে কাঁচের দেয়াল দিয়ে আলাদা করা। নেই ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা। ওয়াসিস রেস্তরাঁর একজন কর্মী বলেন, এই ভবনে বার্গার এক্সপ্রেস, সেশিয়েট, ক্যাফে জেলাটেরিয়া নামের রেস্তরাঁ রয়েছে। শুধু আমরা ছাড়া ভবনের সবাই সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করে। আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজের পাশেই আরেকটি বহুতল ভবন রয়েছে। এই ভবনেও কেএফসি, পিজ্জাহাট, দোসা এক্সপ্রেস, সেভেন পিক, থ্রিথ্রি ও সিক্রেট রেসিপি নামের রেস্তরাঁ রয়েছে। ভবনটিতে আন্ডারগ্রাউন্ডের পেছনের অংশে অরক্ষিত অবস্থায় একাধিক গ্যাসের সিলিন্ডার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে দেখা গেছে। তবে এসব সিলিন্ডারে গ্যাস না থাকার কথা জানান সেখানকার এক কর্মী। ওই ভবনের চতুর্থতলার রান্নাঘরে সারি সারি গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি ঘেঁষেই এমন অবস্থা দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আশপাশের বিল্ডিংগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। আবারো টিম যাবে। আবার তাদের সতর্ক করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করার দরকার তাই করি। রাজউক, সিটি করপোরেশন, তিতাস যে যার যার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করলে আর আমরা সচেতন হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আশপাশের সব ভবনেই আমরা নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু আমরা তো জোর করে তাদের উচ্ছেদ করতে পারছি না। আমরা নোটিশ দিচ্ছি এবং অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিচ্ছি। ফায়ার সেফটি প্ল্যান বাস্তবায়ন করার জন্য তাদের বার বার তাগাদা দিচ্ছি। এসব বিষয় আমাদের মন্ত্রণালয়েও জানিয়ে দিচ্ছি।

রাজধানীর ধানমণ্ডির গাউছিয়া টুইন পিক। ১৬ তলাবিশিষ্ট এই ভবনে কাপড়ের দোকান, শোরুমসহ অন্তত দেড় ডজন রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি বড় বাফেট লাউঞ্জ। বাকিসব চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টের রান্নাও করা হয় এই ভবনেই। তবে নেই ন্যূনতম অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। কয়েকটিতে দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলেও কর্মচারীরা জানেন না ব্যবহারবিধি। এমন বেশ কিছু ভবন রয়েছে ধানমণ্ডিতেই। সাতমসজিদ রোডের দুই পাশেও অসংখ্য আবাসিক ভবনে রয়েছে নামিদামি রেস্টুরেন্ট। ধানমণ্ডির ১৫/এ- তে এমন একটি ভবন রয়েছে, যার স্থপতি মুস্তাফা খালিদ। তিনি শুক্রবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনুরোধ করেছেন কেউ যেন ওই ভবনে না যান। কারণ হিসেবে বলেছেন, ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। নকশা এবং অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে একে সমূহ অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ রেস্তরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে।

ঢাকার খিলগাঁও এলাকা। গত কয়েক বছরে ওই এলাকাটি আবাসিক থেকে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিকে রূপ নিয়েছে। কোথাও নেই কোনো রকম অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওই এলাকার প্রধান সড়ক যেটি শহীদ বাকী সড়ক নামে পরিচিত তার দুই পাশে শত শত রেস্তরাঁ গড়ে উঠেছে আবাসিক ভবনে। এমনও ভবন আছে যার প্রত্যেক ফ্লোরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। কোনো কোনো ভবনের ছাদেও করা হয়েছে রেস্তরাঁ। উঠানামার জন্য বানানো হয়েছে দুই-তিন ফুট চওড়া অস্থায়ী সিঁড়ি। লাগানো হয়েছে ওয়ানটাইম লিফটও। আবার এমন ভবনও আছে যেখানে রেস্তরাঁ, আবাসিক ফ্ল্যাট এমন কি শিশুদের স্কুলও আছে।

ঢাকার সর্বত্রই এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তরাঁ, শপিংমলসহ আবাসিক-বাণিজ্যিক সংমিশ্রণের ভবনগুলো। ফায়ার সার্ভিসের চালানো একটি সমীক্ষা বলছে, রাজধানীর ৯০ শতাংশ ভবন অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৩ শতাংশ ভবন। বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যানার টানাতেও দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসকে। তাতেও টনক নড়েনি কারও। মালিকরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন না ফায়ার সার্ভিসের দেয়া সতর্ক বার্তাকে।

ভবনের সুরক্ষা প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, ভবন তৈরি করতে প্রাথমিক নিয়মই অনেকে মানে না। ভবন তৈরির পর আরও কিছু কাজ থাকে। ফায়ার সেফটির কাজ থাকে। সেগুলোও অনেকে মানতে চায় না। আমরা সতর্ক করছি। নোটিশ দিচ্ছি। সামগ্রিকভাবে সবাই সচেতন না হলে তো হবে না। সিকিউরিটিকে যেমন গুরুত্ব দেয়া হয়, সেফটিকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা ফায়ার সেফটির প্ল্যান দেই। এটা একটা প্রেসক্রিপশনের মতো। বাণিজ্যিক ভবন, শিল্প ভবন কিংবা আবাসিক ভবন অনুযায়ী আমরা আলাদা প্ল্যান দেই। সেটা দেখে বাস্তবায়ন করলে ভবন সুরক্ষিত থাকে।

বেইলি রোডের ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয় বরং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে অব্যবস্থাপনার নগরে পরিণত হয়েছে ঢাকা। রাজউকসহ ছয়টি সংস্থা ভবনের বিভিন্ন অনুমোদন দেয়। কিন্তু এই অনুমোদন অনুযায়ী ভবনগুলো যথাযথ হচ্ছে কিনা, ব্যবহার হচ্ছে কিনা এগুলো দেখভাল না করার কারণে চোখের সামনে এই ধরনের মৃত্যুকূপগুলো তৈরি হচ্ছে। এগুলো হলো অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড। এসব হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার, প্রতিকার বা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যদি না হয় তাহলে তার পুনরাবৃত্তি হবে সেটাই স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার তাই হয়েছে। এটা অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড ছাড়া অন্যকিছু নয়।

তিনি বলেন, একইরকম অসংখ্য ভবন বেইলি রোড, সাত মসজিদ রোড, বনানী-১১ অথবা মিরপুর-২ এ তৈরি হয়ে ‘টাইম বোমা’র মতো বসে আছে। রান্না প্লাজার মতো ঘটনা আমাদেরকে মাত্র দেড় বছরে পুরো একটি শিল্পখাতকে কমপ্লায়েন্স এ পরিবর্তন করে ফেলেছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে আমাদের সামর্থ্য রয়েছে। শুধুমাত্র সিরিয়াস রাজনৈতিক ইনটেনশন দরকার। রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া এর উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করি না। ফায়ার সার্ভিসের বার বার নোটিশ দেয়া প্রসঙ্গে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সংস্থা কি করে বলে তাদের (গ্রিন কোজি কটেজ) নোটিশ দিয়েছি। তাদেরকে তো সনদও দেয়া হয়েছে। সনদ দিলো কে?

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, রেস্তরাঁ করতে হলে বাণিজ্যিক ভবনে করতে হবে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটা লাইসেন্স নিতে হবে। আবাসিক ভবনে রেস্তরাঁ করা যাবে না। রেস্তরাঁ করলেও লাইসেন্স দেয়া হবে না।

খবর: মানবজমিন

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঢাকার দুই বাসিন্দা এই নোটিশ পাঠান, যাতে ইশরাকের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই দুই বাসিন্দার পক্ষে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) এ নোটিশ পাঠানো হয়। তবে একই রাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করে। ফলে এখন পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তৎকালীন বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। ওই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

নোটিশের পক্ষের দাবি:

- ট্রাইব্যুনাল যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে দ্রুত রায় দিয়েছে।

- নির্বাচন কমিশন এ রায় চ্যালেঞ্জ করেনি, বরং গেজেট প্রকাশ করেছে।

- আইন উপদেষ্টার মতামতের জন্য অপেক্ষা না করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের আদেশে কার্যকারিতা নেই, কারণ মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং পদটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইতোমধ্যে শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এবং ইশরাক হোসেন বরাবর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন