সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুক্তি? ওরে, মুক্তি কোথায় পাবি, মুক্তি কোথায় আছে?

বঙ্গবন্ধুর ন্যায় মুক্তমনা, উদার ও স্বাধীনতার চেতনা ও স্বপ্নে প্রোজ্জ্বল একজন অবসংবাদিত নেতা বাঙালি জাতি পেয়েছিল বলেই পৃথিবীর মানচিত্রে আজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বতন্ত্র পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনকৃতি র্পযালোচনা করলে বোঝা যায় সংক্ষিপ্ত ৫৫ বছরের জীবনে কতটা চিরস্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন। বাঙালির মুক্তির এই মহানায়কের মস্তিষ্ক ও শিরা-ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে দীপ্তিমান দ্বীপশিখা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের শেষ প্রান্তে এসে বঙ্গবন্ধুর জীবনভর মুক্তি ও সত্যের আন্দোলন ও অনুসন্ধানের প্রতি আমাদের অন্তহীন বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। শিরোনামে উদ্ধৃত একশত এগারো বছর পূর্বে রচিত রবীন্দ্র পঙক্তি বঙ্গবন্ধুর মুক্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অনুসন্ধান, আন্দোলন ও অর্জনের যথাযথ প্রতিফলন।

জীবনের শৈশব, কৈশোর, যৌবনের পুরোটা সময় সকল মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর যে অতুলনীয় ঔদার্যময় চিন্তাশীলতা ও কর্মকুশলতা আমরা লক্ষ্য করি তাতে সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে তিনি ছিলেন মানবমুক্তির অগ্রদূত।

মানবমুক্তির পথ পরিক্রমায় সদা ব্যাপৃত বঙ্গবন্ধুর ৩০৫৩ দিনের কারাজীবনের অতি অল্পই প্রকাশ পেয়েছে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামক ২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত গ্রন্থে। কিন্তু পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক আমলের পুরোটা সময় তিনি কীভাবে শাসকদের নজরবন্দীতে ছিলেন তার প্রমাণ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নথিপত্র থেকে মূল্যবান দলিলের একটি সংস্করণ প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায় অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত পাকিস্তানিদের সংগৃহীত সকল তথ্য এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত আছে।

বাঙালির প্রধান মিত্র হওয়ার কারণেই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঔপনিবেশিক শাসকরা পাকিস্তানের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে ও মুক্ত মানুষ হিসেবে প্রাপ্য সকল মৌলিক অধিকার থেকেও দশকের পর দশক তাঁকে বঞ্চিত রাখে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করলে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু রচিত, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয় চীন’ গ্রন্থত্রয় পাঠ করলে পাঠকরা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারবেন— ১১১ বছর পূর্বে রবীন্দ্রনাথ কেন লিখেছিলেন ‘মুক্ত করো হে মুক্ত করো আমারে’।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রবীন্দ্র জন্মোৎসবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে আমরা রবীন্দ্র অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ ও অপরিমেয় ত্যাগের বিনিময়ে। কিন্তু সত্য, শ্রেয়, ন্যায় ও স্বজাত্যের যে চেতনা বাঙালি কবিগুরুর কাছ থেকে লাভ করেছে আমাদের স্বাধিকার সংগ্রামে তারও অবদান অনেকখানি। বাঙালির সংগ্রাম আজ সার্থক হয়েছে বাঙালি তার বুকের রক্ত দিয়ে রবীন্দ্র অধিকারকে বাংলাদেশের পুন:প্রতিষ্ঠিত করেছে। (দৈনিক বাংলা, ৮ মে, ১৯৭২)

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম বাণী ছিল—
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী,
ভয় নাই, ওরে ভয় নাই-
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’

১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ অপরাহ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণের পরপরই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধির প্রশ্ন স্যার, ‘আজকের দিনে জাতিকে আপনি কি বাণী শুনাবেন?’
জবাবে বঙ্গবন্ধু তার চোখে-মুখে স্বভাবসুলভ উদার হাসি মাখা সঙ্গে সঙ্গে আবৃত্তি করেন (ইত্তেফাক, ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২) রবীন্দ্রনাথের ১১৪ বৎসর পূর্বে রচিত ‘সুপ্রভাত’ কবিতাটির একাংশ যা উপরে উদ্ধৃত। বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্ররে প্রভাতক্ষণে ‘সুপ্রভাত’ কবিতার মাধ্যমে জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অভয় বাণী গভীর তাৎপর্যবহ। অধিকারহীন, বঞ্চিত ও দরিদ্র মানুষের মুক্তি ও স্বার্থরক্ষায় বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়স থেকেই যে কীভাবে অদম্য প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার বহু প্রমাণ পাওয়া যায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থদ্বয়ের পাতায় পাতায়।

১৯৪৯ সালে ২৬শে র্মাচ তরুণ ছাত্রনতো শেখ মুজবিুর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে কতিপয় শর্তাধীনে বহষ্কিার করা হয় কিন্তু আপসহীনতার প্রতিজ্ঞায় সুদৃঢ় শেখ মুজিব সেদিন পেছনে ফিরে তাকাননি। ইতিহাসের কি অদ্ভুত মিল যে, বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইউনেস্কো মহাপরিচালকরে ঘোষণা-সনদ

গত ১১ নভম্বের, ২০২১ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কোর প্যারিস সদর দপ্তরে ৪১তম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর নামে গত বৎসর প্রর্বর্তিত ‘ইউনেস্কো বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান আর্ন্তজাতিক সৃজনশীল অর্থনীতি পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশ্বের র্আথ-সামজিক-বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদান ও আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।

ভাষা হচ্ছে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রের মূল চালিকাশক্তি। মায়ের ভাষাতেই আমরা খুঁজে পাই জীবন জীবিকার প্রাণশক্তি। পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই গর্ভনর জেনারেল জিন্নাহর অযৌক্তিক ঘোষণার কারণেই ভাষা আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষার গুরুত্ব অস্বীকার করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যায়নরত তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পূর্বেই তিনি বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানের এই অদ্ভুত কাঠামোতে আর যাই হোক বাঙালির মুক্তি সম্ভব নয়। বাঙালির মুক্তির জন্য প্রয়োজন তাদের স্বাধীন মাতৃভূমি।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৬ই মে তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ।’’ (দৈনিক বাংলা, ৭ মে ১৯৭২)

পৃথিবীর প্রতিটি মাতৃভাষাই যে গুরুত্বপূর্ণ সেই বোধটি এসেছে আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে। ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ১৯৯৯ সালে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে সমগ্র বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয়ে আসছে।

গত বছর ১১ ডিসেম্বর ইউনেস্কোর ২১০তম নির্বাহী বোর্ডের সভায় 'ইউনস্কেো-বাংলাদেশ বিজয়ের অগ্রদূত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্ন্তজাতিক সৃজনশীল অর্থনীতি পুরস্কার' প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মুজিব শতবর্ষের এই সময়ে বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এ পুরস্কার ঘোষণা বিশ্বের যুবসমাজকে দারুণভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু